ঢাকা: অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো
বাংলাদেশেও ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে গত সোমবার (১ এপ্রিল) বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার সমন্বয়ে জনসচনতামূলক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বছরের
২ এপ্রিল পালিত এ দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক হয় ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার’।
দিবসটিকে সামনে রেখে সমাজসেবা অধিদফতর অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়
সোসাইটি অফ স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টস (এসএসএলটি), বাংলাদেশ থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন,
বাংলাদেশ অকুপেশনাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য দশটি সামাজিক কল্যাণ সংস্থার সমন্বয়ে জনসচনতামূলক
পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
পদযাত্রাটি রাজধানীর মোহাম্মদপুর টোকিও স্কয়ার থেকে শুরু করে শ্যামলী রিংরোড হয়ে আদাবর থানায় গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রায় দেড়হাজারেরও বেশি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। পদযাত্রাটির উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১৩
আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদেক খান।
এসময় পদযাত্রায় সোসাইটি অফ স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টসের সভাপতি ফিদা আল শামস বলেন, অটিজম একটি
বিকাশগত সমস্যা। অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুরা সাধারণত অপরের সঙ্গে ঠিকমত যোগাযোগ করতে পারে না। তিনি বলেন,
পাঁচ বছর মেয়াদের উল্লেখ্য এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপসহ ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি
প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী থেরাপিস্টই অটিজম শিশুর জন্য সঠিক যোগাযোগ সহায়ক প্রযুক্তি নির্ধারণ এবং সে অনুসারে ব্যবস্থাপনা
নেওয়া যেতে পারে।