সর্বশেষ:
Home / বিনোদন / গুলি করো তবুও রাখাইনে ফেরত দিয়ো না

গুলি করো তবুও রাখাইনে ফেরত দিয়ো না

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার ‘ইউএনএইচসিআর’ এর বিশেষ দূত হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তিন দিনের

 

বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা

 

ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। যার শুরুটা হয় সকাল ৯টায় স্থানীয় ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শনের মাধ্যমে।

 

সেখানে অন্যান্যদের সাথে ভারত ফেরত রোহিঙ্গাদের সাথেও কুশল বিনিময় করেন। সকাল ১০টার পর কুতুপালং রোহিঙ্গা

 

ক্যাম্প পরিদর্শণ করেন। বেলা ১১টায় রিলিফ ইন্টারন্যাল সংস্থার হেল্থ প্রোগ্রাম পরিদর্শন ও সাড়ে ১১টায় রোহিঙ্গা

 

স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় ইউনিএনএইচসিআর কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তার সাথে

 

ছিলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মব্যস্ত সময়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মঙ্গলবার দুপুরে হোপ হসপিটাল, রেজিষ্ট্রেশন সাইড, শিশুবান্ধব কেন্দ্র

 

পরিদর্শন এবং সেখানকার রোহিঙ্গাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। এসময় নারী-শিশুদের সাথে কথা বলে মিয়ানমারে তাদের

 

উপর চলা ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা শুনেছেন।

সারাদিনে তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করেছে তিনি। এতে তিনি বলেন, যারা নির্যাতিত

 

হয়েছে মিয়ানমারে তাদের সাথে তার কথা হয়েছে। ‘নির্যাতিতরা বলেছেন যে হয় আমাদের বাংলাদেশে রাখো নাইলে গুলি করো।

 

কিন্তু রাখাইনে ফেরত দিয়ো না’। তিনি বলেন, ‘তবে সংখ্যাটা এতো বড় যে বাংলাদেশ সামলাতে পারবেনা, সে কারণেই সবার

 

সহযোগিতা দরকার’।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন রোহিঙ্গার জাতি হিসেবে বাংলাদেশে এসেই প্রথমবারের মতো নিবন্ধিত হলো। এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের

 

উচিত তারা যাতে নিজ দেশে নাগরিকত্ব পেয়ে মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা।তিন দিনের বাংলাদেশে

 

সফরের শেষ দিন বুধবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরবেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী ও

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে

শরনার্থীদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য জাতিসংঘ ৯২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, তারই

 

অংশ হিসেবে জোলির এবার বাংলাদেশ সফরে আসা।

হলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর আরো দুইবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা থাকলেও বাংলাদেশে এবারই তিনি

 

প্রথম এলেন। এর আগে তিনি ২০০৬ সালে ভারতে এবং ২০১৫ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শণে এসেছিলেন।

 

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার জন্য তৈরি সরকারি সংগঠন রেফিউজি, রিলিফ অ্যান্ড রিপ্রেটিশন কমিশন (আরআরআরসি)

 

জোলির বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়েছে।

আরআররসি’র কমিশনার আবুল কালাম বলেছেন, ‘অবশ্যই জোলির বাংলাদেশে আগমনের ফলে বিশ্ব নতুন একটি বার্তা পাবে।

 

আশা করি এর মাধ্যমে মানবিক সহায়তা কমিটি বুঝতে পারবেন রোহিঙ্গারা কতটা সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন’।

 

 

Check Also

পাকিস্তানে হামলার বিরুদ্ধে বলায় নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি

কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতি হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। চরম   উত্তেজনা বিরাজ …