ডেস্ক রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের পেছনেই পুকুর ঘাট। কিছুটা দৃষ্টি নন্দন পরিবেশও রয়েছে। এর পাশে থাকা পরিত্যক্ত ভবনে অনেকটা সুনসান নীরব পরিস্থিতি। এই নীরবতাকেই কাজে লাগায় স্কুল পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা। ক্লাস চলাকালীনও সময় কাটাতে আসেন তারা, যা অনেক সময় সৃষ্টি করে আপত্তিকর পরিবেশ। প্রশাসনের নজরদারির অভাবকে দায়ী করে এবার সরগরম হয়েছেন সুশীল সমাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের সামনে পরিত্যক্ত ভবনে হরহামেশাই স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। স্কুল চলাকালীন সময়ে উঠতি বয়সী এমন তরুণ-তরুণীরা অবাধে ঘুরাফেরা ও মেলামেশা করেন। বিষয়টি নিয়ে কারোরই তেমন নজরদারি নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন এ বিষয়ে সবাই যেন উদাসীন এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি বেশ আলোচনায় আসে। উপজেলার সর্ববৃহৎ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বাঞ্ছারামপুর প্রতিদিনসহ আজকের বাঞ্ছারামপুর গ্রুপে বেশ কয়েকটি পোস্ট হয়। সেখানে এর প্রতিকার চান সচেতন মহল।
নেটিজেনরা বলেন, অতিদ্রুত এটি বন্ধ করতে হবে। না হয় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হবেন বিপথগামী। সমাজের কারিগর না হয়ে হবেন সমাজ বিনষ্টের মূলহোতা।
এই অঞ্চলের সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় পরিত্যক্ত ভবনকে নিরাপদ রাখার দাবিও জানান তারা। এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
আরফান আহমেদ আয়ান নামে একজন লিখেন, ‘বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের পিছনে পুকুর পার, পুরানো বিল্ডিং গুলোতে স্কুল চলাকালীন সময়ে ছেলে এবং মেয়েদের অবাদ মিলামিশা দেখা যায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, থানা পশ্চিম ভাই দের দৃষ্টি আকর্ষন করছি আপনারা জনসচেতনতাই বৃদ্ধি করতে পারে আমাদের সুন্দর বাঞ্ছারামপুর। এবং তার সাথে সাথে স্কুলের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি। আপনারা একটু আপনাদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি নজর রাখবেন। মা-বাবারা ও তাদের ছেলে মেয়ে কাদের সাথে মেলামেশা করে সেদিকে একটু নজর রাখবেন।’
সেই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে ফয়সাল নামে একজন বলেন, ‘ভাই তুমি তো এখন দেখতেছো আজ থেকে ৯ বছর আগেই এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হইছে। লাভ কি তাতে?
এছাড়াও বেশ কিছু পোস্ট হয় বিষয়টি নিয়ে। যা উপজেলা পরিষদের জন্য হানিকর বলেই ধরে নেয়া যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন চাইলে বিষয়টির সুরাহা করতে পারে সহজেই। কিন্তু তেমন নজরদারি নেই তাদের। উপজেলা পরিষদের মতো জায়গায় এমন ঘটনা এই এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন করবে ও আপত্তিকর পরিবেশকে উস্কে দিতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি আলোচনায় আসা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।