সময়ের বাঞ্ছারামপুর
ডেক্স রিপোর্ট
অবশেষে পূরণ হলো বাঞ্ছারামপুরের সাংবাদিকদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন। দীর্ঘ ৩৭ বছরের অধরা সেই স্বপ্ন এখন বাস্তব। নানা সংকট আর প্রতিকূলতা পেরিয়ে এবার নিজেদের স্বপ্নের সেই প্রেসক্লাবের ভবন পেতে চলছেন তারা। যা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিত এই অঞ্চলের সাংবাদিকতাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে সাংবাদিকতার ভিত্তি করবে মজবুত, এমনটাই মনে করছেন প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৫টার দিকে সেই মাহেন্দ্রক্ষণে বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস আরা। উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এতো বছর পর প্রেসক্লাবের যাত্রা কেন? তা জানতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩৭ বছর আগে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রেসক্লাবের জন্য উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ৬ শতক জমি কিনে দিলেও কোনো নির্বাচিত কমিটি না থাকায় ও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে জমিটি পরিত্যক্ত ছিল। অবশেষে ৩৬ বছর পর ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়। শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৫ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে তা আলোর মুখ দেখে।
প্রেসক্লাব ভবনের যাত্রা নিয়ে ইউএনও ফেরদৌস আরা বলেন, সাংবাদিকরা দায়িত্ব নিয়ে সমাজের নানান অসংগতি তুলে ধরেন। তাদের অসংগতিও দেখতে হবে আমাদের। এই ভবনের মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুরের সাংবাদিকতা এক নতুন দিগন্তের দিকে যাবে বলে আশা করছি। প্রেসক্লাব ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।’
সাংবাদিকরা নিজেদের এই জায়গাকে সব সময় মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, জানতে পেরেছি সাংবাদিকদের অনেক দিনের স্বপ্ন এই প্রেসক্লাব ভবন। অবশেষে তা আলোর মুখ দেখলো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
প্রেসক্লাব সভাপতি মোল্লা মো. নাসির আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নিজস্ব ভবনের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা গর্বিত ও আনন্দিত।’
সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম শিবলী বলেন, ‘এই ভবন শুধু ইট-পাথরের কাঠামো নয়, এটি আমাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। এর মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুরের সাংবাদিকতা এগিয়ে যাবে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিতে। এই প্রেসক্লাব হবে মানুষের কথা বলার জায়গা।’
সহ-সভাপতি ফয়সল আহমেদ খান বলেন, ‘এতো বছর পার হলেও প্রেসক্লাব ভবন হয়নি, যা এই অঞ্চলের সাংবাদিকদের জন্য দু:খের একটি অধ্যায় ছিল। দীর্ঘ দিনের এক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সবার ঐক্য ও সহমর্মিতায়। সামনে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’
