সর্বশেষ:
Home / খেলাধুলা / কী খেয়ে খেলতে নামেন আন্দ্রে রাসেল?

কী খেয়ে খেলতে নামেন আন্দ্রে রাসেল?

১৩ বলে ৪৮। আচ্ছা, এই ইনিংসের কথা পাশে রাখুন। এবার ভাবুন, চার ম্যাচে ২২টা ছক্কা। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চারটি।

 

পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে পাঁচটা। দিল্লির বিরুদ্ধে ছয়টা। এবার আরসিবির বিরুদ্ধে সাতটা ছক্কা। ‘ছক্কার রাজা’ বলে বাংলা অভিধানে

 

কোনো শব্দ যদি থাকত, সেটা আন্দ্রে রাসেলের পকেটে চলে আসত। টি-২০ ফরম্যাটে আক্রমণাত্মক হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই

 

বলে এতটা আক্রমণাত্মক! লো ফুলটস হোক বা গুড লেন্থ, যে কোনও ডেলিভারি তিনি বাউন্ডারির বাইরে ফেলছেন। তার এমন

 

ছক্কা মারার স্কিলকে অসুরোচিত বলে ব্যাখ্যা করছেন অনেকে।

 

এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কী খান আন্দ্রে রাসেল! কী খেয়ে নামলে এমন দানবীয় শক্তি জুগিয়ে ফেলা যায়! ডায়েট

 

চার্ট কেমন হলে পেশিতে এমন জোর চলে আসে! রাসেল কী খেয়ে নামেন, তার উত্তর দিয়ে গেলেন সতীর্থ ক্রিস লিন। তিনি

 

বললেন, অনেক দিন তো এমন হয়, রাসেল ব্রেকফাস্ট করতেই আসে না। পুরো টিম টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট করে। রাসেল তখন

 

সুযোগ পেলেই চলে যায় জিমে। শরীর চর্চা করতে ও ভীষণ পছন্দ করে।

 

২০ বলে তখন ৬৮ রান বাকি ছিল। কী করে ভাবলেন যে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেবেন! রাসেল ছোট্ট উত্তর দিয়ে বললেন,

 

”টি-২০ ক্রিকেটে সব হয়। একটা ওভার খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমি নিজের উপর বিশ্বাস হারাই না। হ্যান্ড টু আই

 

কম্বিনেশন ঠিকঠাক রেখে খেলার চেষ্টা করেছি। ডাগ-আউটে বসে থেকে উইকেটের আচরণ লক্ষ্য করছিলাম।”

 

 

লন্ডভন্ড কোহলির ব্যাঙ্গালুরু

 

আবারো ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। তার ঝড়ো ১৩ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে গতরাতে ইন্ডিয়ান

 

প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৫ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে।

 

প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০৫ রান করে ব্যাঙ্গালুরু। জবাবে রাসেল ঝড়ে ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলকাতা।

 

ব্যাঙ্গালুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় কলকাতা। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭ বলে ৬৪ রানের সূচনা করেন ব্যাঙ্গালুরুর দুই

 

ওপেনার পার্থিব প্যাটেল ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২৫ রান করে প্যাটেল থামলেও দলের রানের চাকা সচল রাখেন কোহলি।

 

তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স দুর্দান্তভাবে সঙ্গ দেন কোহলিকে। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৫৬ বল

 

মোকাবেলা করে কোহলি-ডি ভিলিয়ার্স ১০৮ রান যোগ করেন। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন।

 

ডি ভিলিয়ার্স ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩২ বলে ৬৩ রানে থামলেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন কোহলি। তার ৪৯ বলের

 

ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। এছাড়া শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টোয়িনিস ১৩ বলে অপরাজিত ২৮ রান করে দলের

 

স্কোর দুই শতাধিক অতিক্রম করেন।

 

জয়ের জন্য ২০৬ রানের টার্গেটে ১৫ দশমিক ৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৯ রান করে কলকাতা। এসময় ২৬ বলে ৬৭ রান দরকার

 

ছিলো কলকাতার। তখনই উইকেটে যোগ দেন রাসেল। ব্যাট হাতে নেমে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ফুটিয়ে দলকে দুর্দান্ত এক জয় এনে

 

দেন রাসেল। ১৯তম ওভারে ব্যাঙ্গালুরুর নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড় টিম সাউদির শেষ পাঁচ বল থেকে ২৮ রান তুলেন তিনি। তার

 

১৩ বলের ইনিংসে মাত্র ১টি চার ও ৭টি ছক্কা ছিলো। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাসেল।

 

এই জয়ে ৪ খেলায় ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠলো কলকাতা। অপরদিকে, ৫ খেলায় অংশ নিয়ে

 

সবক’টিতে হেরে শুন্য পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতেই থাকলো ব্যাঙ্গালুরু।

 

Check Also

হকি রক্ষায় কমান্ডো বাহিনী

আর কোনো ছাড় নয়। হকিতে ক্লাবগুলোর ঔদ্ধত্য আচরণকে আর কোনোমতেই প্রশ্রয় দিতে রাজি নয় বাংলাদেশ …